তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পরিবহন থেকে চেইন মাষ্টারের নামে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। নাম মাত্র টোকেন ছাপিয়ে চাঁদা তুলে ভাগবাটোয়ারা করে নেন স্থানীয় প্রভাবশালী একটি প্রতারক চক্র।
জানা গেছে, হাটিকুমুরুল বনপাড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ তাড়াশ এলাকার মহিষলুটি বাসষ্টান্ডে চাদাঁবাজী করছে একটি সংগঠিত চক্র। হাটিকুমুরুল-বনপাড়া নাটোর রোডে বাসষ্ট্যান্ডে রমরমা চাদাঁ বাজী চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে চলছে।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীরা মাসোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ্য কাজ পরিচালনা করে আসছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক অটোভ্যান, রিক্সা, নছিমন চালক জানান, হাটিকুমরুল বনপাড়া মহাসড়কে তাড়াশ এলাকার মহিললুটি বাসষ্টান্ডে রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে, চকরসুল্লাহ গ্রামের আব্দুল জলিল, দিঘী গ্রামের আবু তালেব, দেবীপুর গ্রামের রুহুল আমিন ও হাসিুনর নামে প্রায় ১৫ জনের একটি সংগঠিত দল চাদাবাজী করে আসছে । কেউ বাধাদিলে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে মারপিট, হুমকি ধামকি দেওয়া হয় চালকদের। যার ফলে তারা নিরবে চাঁদা দিয়ে গাড়ী চালাচ্ছেন। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী এ চাঁদাবাজী বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী প্রয়োজন।
এ বিষয়ে চাদাবাজঁ চক্রের একজন সদস্য আব্দুল জলিল বলেন, এতদিন কোন সাংবাদিক এগুলো নিয়ে কথা বলেনি, এর সাথে মহিষলুটির বড় বড় নেতা জড়িত আছে। এ কাজের সাথে কারা জড়িত তাদের কে আপনারা কিছুই করতে পারবে না। আমরা যা করি তা সবার সামনেই করি । অবশ্য পরে সংবাদটি প্রচার না করতে ম্যানেজের চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে চেইন মাষ্টার নেতা রিয়াজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহিষলুটির সকল চেইন মাষ্টাররা আমার লোক, এরা আমার দলীয় লোক, সব কিছু ম্যানেজ করেই টাকা তুলি ।
এ ব্যাপারে নওগাঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু জানান, হাটিকুমরুল বনপাড়া মহাসড়কে মহিষলুটি বাসষ্টান্ডে যে চেইনের টাকা তোলা হয় সে বিষয়ে থানার ওসি সব জানে। আমি নিজে ওই টাকা তুলতে বিরোধিতা করেছি।
এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফ্ফাত জাহান বলেন, বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।