বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে শিহাব উদ্দিন (১৩) নামের এক মাদ্রাসার ছাত্রের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে । মঙ্গলবার উপজেলার বনপাড়া এলাকায় সন্ধার পরে এ ঘটনা ঘটে। শিহাব উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে এবং রাজাপুর কাওমী মাদ্রাসার ছাত্র। রাতেই তাকে পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন-উর- রশিদ এবং বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক দিলিপ কুমার দাস।
বুধবার সকালে পাটোায়ারী জেনারেল হাসপাতালে শিহাব বলেন, বার দিন পুর্বে রাজাপুর কাওমী মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। তার আগে দাসগ্রাম কামিল মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। ভর্তির পর থেকে মা বাবা খুব একটা যোগাযোগ করেনা। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২ ঘটিকার দিকে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বনপাড়া বাজারে হোটেলের সামনে বসে থাকে তার মামা মেহেদী হাসান মিরাজের অপেক্ষায়। বিকেলে মডেল হাইস্কুল মাঠে ফুটবল খেলা দেখা শেষে সন্ধা ৭ ঘটিকার দিকে মামার সাথে দেখা না হওয়ায় রাজাপুর যাওয়ার জন্য ইজিবাইকে উঠে।
ইজিবাইকে আরো দুইজন লোক উঠে। তারা তাকে পেয়ারা খেতে দেয়। তার পরে আর কিছু মনে নেই। হঠাৎ করে হাতে আঘাত পেলে সজাগ হয়। তখন গলায় ছুরি বা ব্লেড যাতীয় কিছু ধরে ৩০ বছরে মত বয়সী ২ জন লোক বলে কোন কথা বলবি না। ইজিবাইকটি কিছুদুর যাওয়ার পরে জ্যামে আটকা পরলে লাফ দিই। এ সময় গলায় আঘাত লাগে। হাত ও গলা থেকে রক্ত পড়া দেখে আমি কাঁপতে থাকি ও ভীত হয়ে পড়ি। কেযেন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আনিসুর রহমান বরেন, তার কারো সাথে শত্রুতা নেই। কে বা কাহারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে আমার কোনো অভিযোগ নাই, ছেলে সুস্থ হলে বাড়িতে নিয়ে যাব।
ডা. সিদ্দকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, তার গলায় সামান্য আঘাতের তিনটি চিহৃ রয়েছে যার কারনে সেলাইয়ের প্রয়োজন হয় নাই। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ হাসপাতালে গিয়ে সিহাবের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর শেষে বলেন কি কারোনে এঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত্র করার জন্য পুলিশ কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন উর রশিদ বলেন, কি কারনে এ ঘটনা ঘটালো আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।