চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদরা গ্রামে সতীনের নির্যাতন ও মারপিটে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত গৃহবধূ হলেন ওই গ্রামের মোঃ আব্দুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী শাপলা খাতুন (২৭)। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার দিবাগত রাতে। গত সোমবার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠায়। তবে আব্দুল্লাহ দাবি করেছেন তার ২য় স্ত্রী গ্যাস ট্যাবলেট (কীটনাশক) খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর একজন ঠিকাদারের সাথে শ্রমিকের কাজ করতো। প্রায় এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার পাচপুঙ্গলী গ্রামে কাজ করতে গিয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা এক সন্তানের জননী শাপলার সাথে পরিচয় হয় আব্দুল্লাহর। পরিচয় থেকে পরিনয় সূত্রে আবদ্ধ হয়। কিন্তু প্রথম স্ত্রী রাহেলা তা মানতে পারেনি।
ফলে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরে ভাড়া বাসায় তারা বসবাস করতে থাকে। ঈদের আগেদিন শাপলা ভাদরা গ্রামে স্বামীর বাড়িতে যায়। রবিবার রাতে তার সতীনসহ অন্যরা শাপলাকে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে প্রচার করে শাপলা বিষপানে করেছে। তাকে প্রথমে চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সোমবার ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠায়। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান,গৃহবধূর মৃত্যুটি রহস্যজনক। সতীনের সাথে ঝগড়ার জের ধরে সে নাকি আত্মহত্যা করেছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের স্বজনর অভিযোগ করেছে। সন্দেহজনক হওয়ায় ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।