সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলা সদর বাদে ১০টি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ শনাক্তের ব্যবস্থা নেই।
একাধিক সরকারি কর্মকর্তার বাসভবনের ফুলের টবসহ অনেক স্থানে এডিস মশার লার্ভাও পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে জেলার অনেক স্থানে। গত ২৪ ঘন্টায় এ রোগে আক্রান্ত আরো ২৩ জন সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৭৯-এ।
ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমেশ চন্দ্র সাহা ও সিভিল সার্জন ডাঃ সাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা এ প্রতিবেদককে বলেন, এসব রোগীদের হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং চিকিৎসকসহ সব কর্মচারীরা বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সিভিল সার্জন বলেন, সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল বাদে উপজেলার ১০টি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ শনাক্তের ব্যবস্থা নেই। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের সব কয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই রোগ শনাক্তের মেশিন ক্রয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে এখন আতংকের কিছু নেই এবং সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।
এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অ্যান্টোমোলজি টেকনেশিয়ান তোফাজ্জল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পৌরসভা ক্যাম্পাসে স্তূপ আকারে থাকা গাড়ির চাকার ভেতরসহ জেলার একাধিক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বাসভবনের ফুলের টবে লার্ভা পাওয়া গেছে। সেইসাথে অনেক স্থানে পূর্ণবয়স্ক মশার সন্ধানও মিলেছে। এ থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, এডিস মশার লার্ভা শহরের বিভিন্ন স্থানেই রয়েছে।
অপরদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন স্থানে সচেতনমূলক আলোচনা সভা ও র্যালি প্রদক্ষিণ করা হয়েছে। জেলা উপজেলা সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত চতর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মশা নিধনের ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।