ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : ভাঙ্গুড়ায় পৌরসভায় আবাসিক এলাকায় বালু রেখে ব্যবসা করায় জনদুর্ভোগের অভিযোগ উঠেছে দুই বালু ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রথম শ্রেণির ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর সারুটিয়া মহল্লার সিসিডিবি অফিসের পূর্ব পাশে আবাসিক এলাকায় ডেজার মেশিন দ্বারা বালু আনিয়া ব্যবসার জন্য স্তপকৃত করিয়াছেন ঐ এলাকার প্রভাবশালী মোঃ বক্কার আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল কাদের ও মোঃ আফছার আলীর ছেলে মোঃ মোমিন।
ফলে বাতাসে এলাকাবাসীর ঘড় বাড়িতে বালু প্রবেশ করে আসবাব পত্রসহ খাবার নষ্ট হওয়ায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। আবাসিক এলাকায় বালু রাখতে বাধাদিলে তারা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। পৌর সভার ৪নংওয়ার্ড কমিশনার আব্দুর রহিম আবাসিক এলাকা হওয়ায় বালু রাখা বন্ধ করে দেন, কিছু দিন পরে আবার বালু রাখা শুরু করলে ভুক্তভুগিরা ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে এ এসআই রাজু আহম্মেদ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে কাজ আবারো বন্ধ করে দেন।
কিন্তু অশুভ শক্তির জোরে আবারো বালু স্তপকৃত করা শুরু করলে গত ১৩-০৭-১৯ইং তারিখে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা কাজ বন্ধ করে দেন । বালু ব্যবসায়িরা আবার গত ২০-১০-১৯ তারিখে বালু স্তপকৃত করা শুরু করেন। ভুক্তভুগীরা আবারো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন,ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান,ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ মাসুদ রানাকে বিষয়টি তদন্ত পূবক বন্ধ করার জন্য বলেন।
থানা ইনর্চাজ মোঃ মাসুদ রানা,এ এস আই কামরুল ইসলাম কে দায়িত্ব দেন। কামরুল ইসলাম বালু স্তপকৃত করা বন্ধ করেন। ব্যবসায়িরা সাময়িক বন্ধ রাখলেও পুনরায় আবার পূর্ণদ্যোমে শুরু করেন। এলাকাবাসি আবারো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা কর্মকর্তা কাছে অভিযোগ করেন। এ এস আই সাজিদুর রহমান ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে বালু ব্যবসায়ি মোঃ আব্দুল কাদের ও মোমিনকে বালু স্তপকৃত করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
কিন্তু ঐ ব্যবসায়িরা প্রভাব খাটিয়ে এখনো বালু স্তপকৃত করে এলাকার জনদূরভোগ সৃষ্টি করছেন । বালু ব্যবসায়ি আঃ কাদের বলেন,উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বাড়ির পাশ দিয়ে টিনের বেড়াদিয়ে বালি রাখার অনুমতি দিয়েছেন।