মোস্তাফিজুর রহমান, চাটমোহর অফিস:- বেত হাতে এই ধামা কাটা সারি চির চেনা গ্রামের রাস্তা দিয়ে এমন কষ্ঠ, ডাক দিয়ে যেত দাস পেশার মানুষ গুলো। অতিতে এমন কষ্ঠ শুনা গেলেও এখন তা শুধুই গপ্লের মতো। যে কই টেকা কামাই করি তা দি সংসার তো পরের কথা পেটের ভাতই জোটে না এমন কথাই বলছিলেন, অাটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়া ইউনিয়নের ইমলাম পুর গ্রামের বাসিন্দা পুল্লাতি দাস (৫৯)। বাপ দাদার পেশা ছাড়তেও পারছি না, এই পেশায় থাকতেও পারছি না। খুব ছোট বেলায় পুল্লাতি দাসের এই পেশায় হাতে খড়ি তার পিতা মৃত পুলিন দাসের কাছে ১৯৮০ সালে । সকাল হলেই হাতে বেত আর দা হাতে ছুটতে হয় গ্রামের পর গ্রাম । এক সময় গ্রাম বাংলার অধিক অংশ বাড়িতে, ধামা, কাঠা, সের, আর দাড়ি পাল্লার কাজে বেত ব্যবহার করা হয়েছে । সময়ের বিবর্তনে আজ তা বিলুপ্তির পথে, ধামার পরিবতে ডিস গামলা, প্লাটিকের কৌটা ব্যবহার বেড়েছে । বিভিন্ন জিনিস যা পূর্বে বেত দিয়ে তৈরি হতো, এখন সে গুলোতে আধুনিকতার ছুয়া লেগেছে, ফলে বেত দিয়ে আর তৈরি হয় না । ফলে দিনে দিনে তাদের কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে, বিপদ গামি হয়ে পড়ছেন এই পেশার মানুষেরা।পুল্লাতির দাসের দুই ছেলে, অনিল দাস (৩০) ও বিপ্লব (২৫) অনিল দাস কে তিনি সেলুনের পেশায় অন্য জন ভ্যান চালক।তিনি বলেন আগামী দিনে হয়তো এই পেশার মানুষের আর দরকার হবে না তাই, ভেবেই আমার ছেলেদের ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত করেছি। অনলাইন নিউজ পোর্টাল স্বাধীন খবর পত্রিকার সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও দৈনিক চলন বিলের আলোর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রনি বলেন, যদি বেতের তৈরি জিনিস ব্যবহার বাড়াতে হবে। তাহলে এ পেশাজীবি পরিবারের সদস্যদের কর্ম ক্ষমতা বাড়বে। সমাজের সকল পেশা জীবি মানুষ কে একটু সাহায্য সহানুভূতিশীল হলেই ভাল থাকবে সবাই।