৷৷ নাজনীন নাহার ৷৷
জীবন যেখানে নিজ হাতে জীবনের নিলাম সম্পন্ন করে কাঁদে,
তুমি তাকে প্রণয় প্রহসন বললেও;
আমি তাকে অনুরাগের অতিরঞ্জন বলেই ডাকব।
যদিও কদাচিৎ,
নামেই কিবা আসে যায়!
তবুও নামাঙ্কিত অনুভূতির প্রকাশিত সত্যের অবগুণ্ঠনেই ধাবিত হয় প্রেম,
ধাবিত হয় প্রহসনের নীল নিঃশ্বাস।
সময় গড়ায়,
আর সময়ের হাত ধরে গড়িয়ে পড়ে ;
অভিমান ও অভিযোগের অভিতাপ।
ভালোবাসা কী?
প্রেম কেন ক্ষতবিক্ষত হয় সন্দেহের উল্লাসে?
জবাব সহজতায় সুস্পষ্ট হলেও,
বোধের ঘেরাটোপে সে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়েই কাঁদে।
প্রশ্নের প্রাশ্চিত্তে দহনের লাঘব হয়তোবা সান্ত্বনার শীতলতায় মাতে,
তবুও অনুতাপের দগদগে ক্ষত বিক্ষত দুঃখ দহন ;
অনুভূতির আব্রুতে বিষাদ বিতর্ক জড়ো করে।
জড়ো করে পাওয়া না পাওয়ার,
কয়েক প্রস্থ ক্রন্দন কাব্য।
কবিতার শরীরে আঁকতে থাকে,
নিজস্ব বিক্ষোভ অনুবাদ।
এভাবেই ভালোবাসার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে,
প্রেমিক মন।
বিশ্বাসের শরীরে আশ্রয় নেয় প্রতারণার পরিশুদ্ধ পরিভাষারা।
আহা জীবন!
জীবন বুঝিবা কখনও কখনও এভাবেই কেনা বেচা করে,
জীবনের তীক্ষ্ণ কষ্টের পর্যাপ্ত ঘ্রাণ।