মোস্তাফিজুর রহমান, চাটমোহর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহরে এখন দূর্গাপূজার সাজ সাজ রব। ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে পূজা উদযাপনে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। মন্ডলগুলোতে ইতিমধ্যে প্রশাসনের টহল জোরদার করা হয়েছে। পূজা উপলক্ষে মার্কেটগুলো জমে উঠেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ।
চাটমোহরে ৪৭টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দূর্গাপূজার সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মন্ডপে মন্ডপে এখন প্রতিমা তৈরি এবং প্রতিমায় রং তুলির আচর শেষ করছেন কারিগররা।
বেলগাছি পালপাড়ার অমল চন্দ্র পাল এবার ৩০টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছিলেন। তাকে সার্বক্ষণিক সহায়তা করছেন তার স্ত্রী দীপা রাণী পাল ও স্কুলপড়ুয়া ছেলে অলোক কুমার পাল। কয়েকটি প্রতিমা তৈরির অর্ডার নিয়েছেন অপূর্ব কুমার পাল। তার স্ত্রী সুচিত্রা রাণী পাল ও স্কুলপড়ুয়া ছেলে কৃষ্ণ কুমার পাল তাকে সহযোগিতা করছেন। এছাড়া বিমল চন্দ্র পাল ও ফরিন্দ্র নাথ পালও দূর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক পিনাক ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ৫ দিনব্যাপী দূর্গাপূজার উৎসব শুরু হয়েছে। ২৬ অক্টোবর সোমবার বিজয়া দশমী। দূর্গাপূজা উপলক্ষে বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অশোক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন এবং থানা পুলিশ প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি-সম্পাদক, বিভিন্ন মন্ডপ কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ সুশীল সমাজের সঙ্গে সভা করেছেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ৪৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি মন্ডপে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি সকল নির্দেশনা মেনেই পূজা করতে হবে।