নাজিম হাসান, রাজশাহী থেকে : রাজশাহীর বাগমারায় স্ত্রীকে গলাটিপে এবং সাত বছরের শিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১ মে) দুপুরে দুটি মামলায় চার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরা হলেন, গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী সোহাগ হোসেন (১৭), তার মা রুপালী বেগম (৩৫) এবং শিশু মারুফ হাসান হত্যা মামলার আসামি বাবা শাহজাহান আলী (৪৫) ও সৎ মা মুক্তা বেগম (২৫)।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকা-ের সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। শুক্রবার রাতে গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিনকে হত্যার অভিযোগ তার মা ছামেনা বিবি বাদি হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবিনার স্বামী, শাশুড়ি, মামা ও নানা শ্বশুরকে আসামি করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে গলাটিপে হত্যার পর লাশ ঘরের মধ্যে ফেলে রাখা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মুঠোফোনে প্রেমের পর দেড় মাস আগে চানপাড়া গ্রামের সোহাগ হোসেনের সঙ্গে মাঝগ্রামের সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে সোহাগ হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে চানপাড়ায় নানার বাড়িতে থাকতেন। অপরদিকে, শিশু মারুফ হাসানকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা ও সৎ মাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন শিশুর মা মারুফা বেগম। এর আগে এ ঘটনার সর্ম্পকে জানার জন্য পুলিশ শিশুর বাবা, সৎ মা ও দুই চাচাকে থানায় নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুই চাচাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাবা শাহজাহান আলী (৪৫) ও সৎ মা মুক্তা বেগমকে (২৫) গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত মারুফ হাসান উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে। তার মায়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর সৎ মায়ের সঙ্গে থাকতো সে।