ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় যৌতুকের দাবিতে আমেনা খাতুন (১৮) নামে এক নববধূকে নির্যাতনেরর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় পৌর সদরের আদর্শ পাড়া মহল্লায় এঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় ঐ নববধুকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ও নির্যাতিত গৃহবধুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, চার মাস আগে পৌর সদরের আদর্শ পাড়া মহল্লার আমিরুল ইসলামের মেয়ে আমেনা খাতুনের সাথে একই মহল্লার আব্দুল গাফফার আলীর ছেলে সোহেল রানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী রানা আমেনাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। বিয়ের দুই মাসের মাথায় রানা যৌতুকের জন্য নানাভাবে চাপ দেয় আমেনাকে। অব্যাহত নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে চলতি মাসে আমেনা ঢাকা থেকে তার স্বামীর গ্রামের বাড়ি আশ্রয় নেয়। এখানে এসেও পাষন্ড স্বামী তাকে আবারও অমানুষিক নির্যাতন চালায়। প্রতিবেশী তারা বানু বলেন, রানা মাঝে মধ্যেই আমেনাকে মারধর করত। ঠেকাতে গেলেই দা নিয়ে তাড়িয়ে ধরত রানা।
নির্যাতিত গৃহবধূ আমেনা খাতুন বলেন, রানা যৌতুকের জন্য আমাকে প্রায়ই মারধর করতো। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত মাসখানেক পূর্বে রানা আমাকে কয়েলের আগুন দিয়ে হাতে ছ্যাঁকা দেয়। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে রানা আমাকে ঘরে ভিতর নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায় এবং গলা চেপে ধরে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। রানা আমার সাথে প্রতারণা করেছে,তার আগেও একটি বউ রয়েছে। আমাকে কিছু জানায়নি। এসব কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আমেনা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সোহেল রানা পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নি।
ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাত বলেন,তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুদ রানা বলেন,নির্যাতিত গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।