৷৷৷ সেলিনা রহমান শেলী ৷৷৷
তিনি:” কি করছিলে?”
মেয়েটি:”এই তো বেলকনিতে বসে কুয়াশা দেখছিলাম।”
তিনি:” রুমে যাও।ঠান্ডা লাগবে।”
মেয়েটি: “সারাদিন তো রুমেই থাকি।এখন একটু সন্ধ্যা দেখি প্লিজ।”
তিনি: “মন খারাপ?”
মেয়েটি:” সেটা তো নতুন নয়।”
তিনি: “কেউ কিছু বলেছে?”
মেয়েটি (হেসে উঠে):”আমি ছোট না কি যে, কেউ কিছু বলবে।”
তিনি:” তা হলে মন খারাপ কেনো?”
মেয়েটি: “কারণ ছাড়া কি মন খারাপ হতে নেই?”
তিনি: “কারনটা জানলে মন ভালো করে দিতাম।”
মেয়েটি:”আমার মন খুব তুচ্ছ কারনে খারাপ হয়।আকাশে কোন পাখিকে দল ছাড়া উড়ে যেতে দেখলে মন খারাপ হয়।গতকালের গোলাপটা শুকিয়ে গিয়েছে দেখেও মন খারাপ হয়।এই সন্ধ্যায় চাইলেও তোমার হাত ধরতে পারবো না ভাবলেও মন খারাপ হয়।”
তিনি:” তুমি খুব পাগলি একটা মেয়ে জানো?”
মেয়েটি: “এই পাগলি মেয়েটা তোমাকে অনেক ভালোবাসে তুমি কি এটা জানো?”
তিনি (হেসে উঠেন): “জি, জানি। এজন্য আমি চাই তুমি কখনও মন খারাপ করবে না।আকাশে একলা পাখি দেখলে মনে করবে সে তার সঙ্গীর কাছেই ফিরছে।গোলাপকে শুকিয়ে গিয়েছে দেখলে ভাববে, সে সুবাস ছড়িয়ে নিজেকে তৃপ্ত করেছে।”
মেয়েটি: “আর তোমার হাত ধরতে ইচ্ছে করলে?”
তিনি:” ইচ্ছে টা শুধু তোমার নয় আমারও জানবে।”
মেয়েটি: “তুমি আসো না কেনো?”
তিনি:” কাঁদছ কেনো পাগলি?”
মেয়েটি (কান্না ভেজা কন্ঠে): “আমার মনটা ভালো করে দাও।আমার সত্যি মন খারাপ।”
তিনি:” কবিতা শুনলে মন ভালো হবে ?”
মেয়েটি: “না।”
তিনি: “গান শুনলে ?”
মেয়েটি:না “।
তিনি: “তাহলে লক্ষ্যি মেয়ের মত সামনের রাস্তায় দেখো।ল্যাম্পপোস্ট বরাবর সামনে দেখো তো কাউকে দেখা যায় কি না।বাপরে, এই শীতে তোমার জন্য দাঁড়িয়ে থেকে জমে বরফ হয়ে যাবো তো”।
মেয়েটি চমকে যায়। সামনের ল্যাম্পপোস্টের নিচে আলো আধারের মাঝে কুয়াশা ভেদ করে সত্যি কি কাউকে দেখা যাচ্ছে? তিনি কি সত্যি এসেছেন।মেয়েটির মনে এই শীতের সন্ধ্যায় বসন্তের সমীরণ খেলে যায়।