লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : সারাদেশে ব্যাপক ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় বাড়িতে একা পেয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে এক কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক এবং তার পরিবারের পুরুষ সদস্যরা পলাতক রয়েছে। এই ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিত স্কুল শিক্ষার্থীর মা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম উত্তর আমিরাবাদ মুহুরী পাড়া এলাকায় সৃজনশীল কোচিং সেন্টার নামে একটি কোচিং সেন্টার খোলেন। ওই কোচিং সেন্টারে ধর্ষিতা ছাত্রী সহ একই পরিবারের চার ভাই বোন পড়তেন। অভিযুক্ত ধর্ষক সাইফুল ইসলামের বাড়িও একই এলাকায়। তিনি মুহুরী পাড়া আবদুস ছোবাহানের ছেলে। অভিযুক্ত সাইফুল একটি বেসরকারি ব্যাংকে মার্কেটিং অফিসার হিসাবে কাজ করত বলে জানা গেছে।
ওই ছাত্রীর মা রাজিয়া বেগম জানিয়েছেন ঘটনার আগের দিন আমি বড় মেয়ের শ্বাশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরেরদিন ১২ এপ্রিল সকাল ৮ টার দিকে সাইফুল আমাকে ফোন করে আমি কোথায় আছি জানতে চায় উত্তরে আমি বড় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আছি বলে জানায়।
এরপর তিনি আমাদের বাড়িতে এসে ঘরে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সাইফুল পালিয়ে যান।
পরে প্রতিবেশীরা মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দীর্ঘ এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর সুস্থ্য হয়ে ওঠলে ১৮ এপ্রিল মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস. আই বিকাশ রুদ্র জানান ধর্ষিত ছাত্রীর ডাক্তারী পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আসামি যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকাশ পেলে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।