চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : শস্যভান্ডার খ্যাত পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সরিষা ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের চেখে মুখে এখন হাসির ঝিলিক বইছে। কৃষকের বাড়ির উঠানো উঠানো চলছে কাটা ও মাড়াই উৎসব।
কৃষকরা জানায়, এ অঞ্চলে টরি-৭ জাতের সরিষা, বারী-৯, ১১,১৪ ও ১৫ জাতের সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। চলনবিলে মাঠে প্রায় সব এলাকাতেই সরিষার আবাদ হলেও উত্তরাংশের নিমাইচড়া ও হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বিলগুলোর নয়নাভিরাম সরিষা তে সবার দৃষ্টি কেড়েছে।
চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের হাসুপুর গ্রামের কৃষক ইয়ার মাহমুদ বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে বারি-১৪ (হলুদ সরিষা), ও ২ বিঘা জমিতে টরি-৭ (মাঘী) সরিষার আবাদ করেছেন। চাষ বীজ সার কীটনাশক জমি থেকে সরিষা উত্তোলন পর্যন্ত বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। গড়ে প্রতি বিঘা জমিতে ৬ মনের মতো সরিষা ফলন হচ্ছে।
হাট বাজারে কাচা ভেজা নতুন সরিষা ১ হাজার ২’শ থেকে ১ হাজার ৩’শ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। ৬ বিঘা জমি সরিষা আবাদে তার ২৪ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এ বছর সরিষা আবাদে ১৯ হাজার টাকার মতো লাভ থাকবে। নিমাইচড়া পশ্চিমপাড়ার কৃষক রেজাউল করিম বলেন, চলতি মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে।
জমি চাষ, বীজ, ড্যাপ, ইউরিয়াসহ অন্যান্য সার ও কীটনাশক প্রয়োগ বাবদ এ পর্যন্ত বিঘা প্রতি প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিন বিঘা জমিতে সরিষার আবাদে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘা প্রতি ৭ মন ফলন হয়েছে। সে হিসেবে তিন বিঘা জমি সরিষা চাষ করে প্রায় ১৩ হাজার টাকা লাভ করতে হয়েছে।
কৃষকরা বলেন, এ মৌসুমে সরিষা আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। এ লাভের টাকা তাদের বোরো আবাদে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৫ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জন হয়েছে ৫ হাজার ৬’শ ৫০ হেক্টর।