শিরোনামঃ

আজ বৃহস্পতিবার / ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বসন্তকাল / ২৮শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৮ই রমজান ১৪৪৫ হিজরি / এখন সময় বিকাল ৪:৩৯

ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। এসময় ম্যানেজিং কমিটির লোকজন তাকে মারধরও করে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের দোহারীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মশিউর রহমান (৪৫)। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও ভাঙ্গুড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মশিউড় রহমান গত দেড় বছর আগে উপজেলার দোহারীগ্রাম সপ্রবিতে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে তার বনিবুনা হচ্ছেনা। তাই ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে তাকে বহিস্কারের হুমকি দিতেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকরা ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলে। এতে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা গ্রাম্য প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে এসে তাকে মারধর করে বের করে দেয়। তবে ম্যানেজিং কমিটি সদস্যরা প্রধান শিক্ষককে নিজেরা মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আলী আজগর জানান, বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই প্রধান শিক্ষক মশিউর শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করত। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। আর মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা তাকে মারধর করেনি। বরং এলাকাবাসী মারধর করতে লাগলে ম্যানেজিং কমিটির লোকজন তাকে রক্ষা করে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার খম জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খানমরিচ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই প্রধান শিক্ষক মশিউরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে ইউপি কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মৌখিক অভিযোগও এসেছে। এসময় তিনি সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আত্মগোপন করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে দুপুর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Share via
Copy link
Powered by Social Snap