স্টাফ রিপোর্টার: পাবনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে সেবা তত্ত্বাবধায়ক না থাকায় সেবার মান ভেঙ্গে পড়েছে। সেবা তত্ত্বাবধায়ক উমা রায় এল পি আর এ যায় গত ৩০/১১/২০২২ ইং তারিখে।
উপ সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোছাম্মাৎ মাহবুবা খাতুন হাসপাতালে আসতে চান না। বর্তমানে হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্সকে সেবা তত্ত্বাবধায়কের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যার কারনে উনার কথা কোন নার্সরাই মানতে নারাজ। কোন নার্সিং স্টাফ তার কথার তোয়াক্কা না করে যে যার মত কাজ করে চলেছে। যার কারনে হাসপাতালের আয়ারা নার্সিং স্টাফ এর দায়িত্ব পালন করছে।
যার কারনে কিছু দিন আগে একজন আয়া একজন নবজাতকের চিকিৎসা দিতে গিয়ে শিশুটির হাতের আঙুল কেটে ফেলে। তা ঐ সময়ের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ বিষয় নিয়ে হাসপাতালে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়। হাসপাতালের সকল সিনিয়র স্টাফ গণের দাবী আমাদের উপ সেবা তত্ত্বাবধায়ককে তার স্বপদে বহাল করা হউক। স্টাফ নার্সগণের পক্ষ থেকে মোছাম্মাৎ মাহবুবা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, প্রয়োজনে চাকুরী ছেড়ে দিব তবু হাসপাতালে যাবোনা। এদিকে মোছাম্মাৎ মাহবুবা খাতুনের অত্যাচারে পাবনা নার্সিং কলেজের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ চলছে। উনি কলেজে যোগাদান করার পর থেকে উনার পছন্দের দুই জন কর্মকর্তা ছাড়া কারনে অকারনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
মোছাম্মাৎ মাহবুবা খাতুন সকলকে হুমকি দেন, ডিজি অফিসে একজন কর্তা ব্যাক্তি আমার লোক। বেশি বাড়াবাড়ি করলে উনাকে বলে বদলী করে দিব। কলেজের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী একাধিকবার নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মহোদয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হয় নাই। সে কারণে মোছাম্মাৎ মাহবুবা খাতুনের বলেন, আমার বিরুদ্ধে তো অনেকে অভিযোগ করেছে কিন্তু কিছু কি করতে পারছে? পারবেও না। অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে বর্তমানে মাহবুবা খাতুন আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে হোষ্টেলের মেসের নামে মাত্র দায়িত্বে আছে মোঃ আমজাদ হোসেন নার্সিং ইন্সট্রাক্টর । টাকা পয়সা হিসাব নিকাশ সব কিছু থাকে মাহবুবা খাতুনের কাছে। মাহবুবা খাতুনের নিজ বাসা ঈশ্বরদী। উনি ঈশ্বরদী থেকে মেসের বাজার করে আনেন।
মাহবুবা খাতুনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে তার স্বপদে বহাল করা হলে হাসপাতালের রোগীদের সেবার মান যেমন বাড়বে ঠিক তেমনি পাবনা নার্সিং কলেজের পরিবেশ ও শান্ত হবে।