চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আড়াই লাখ টাকার আলট্রাসনোগ্রাফির ব্যবহৃত প্রিন্টার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বন্ধ রয়েছে আলট্রাসনোগ্রাফি। চুরির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিছুই জানে না। ঘটনাটি নজরে এলে সরগোলের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে অনেকেই বলাবলি করছে এটা চুরি হয়েছে।
চুরি ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বুলবুল বলছেন, সদ্য কর্মস্থলে যোগ করেছি, ঘটনাটি জানার পর উধ্বস্তন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আলট্রাসনোগ্রাফি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। বাইরে থেকে বেশি খরচে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলট্রাসনোগ্রাফি চালু হয়। শতশত রোগী প্রতিনিয়ত হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, রেডিওগ্রাফার ফরিদুল ইসলামকে আলট্রাসনোগ্রম বৃঝিয়ে দেন ষ্টোরকিপার হাবিবুল্লাহ।
ফরিদুল বর্তমানে পার্শ্ববতী ফরিদপুর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরমিলা আক্তার ঝুমি বলেন, আলট্রাসনোগ্রাফি চালু করতে যেয়ে দেখি প্রিন্টার নেই। প্রিন্টারের জন্য আলট্রাসনোগ্রাম করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বুলবুল বলেন, সদ্য এ উপজেলায় যোগদান করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।