নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা ব্যাপক তৎপর। দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় দলের হাই কমান্ডে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তারা। বসে নেই পাবনা জেলার (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৩ এলাকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ডজন দুয়েক নেতা মাঠে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতম আলহাজ্ব মোঃ আঃ হামিদ মাস্টার। যিনি নৌকার পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করছেন। তিনি দর্লীয় মনোনয়নের দাবী জানিয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পাবনা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক, সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, এলাকার সাধারণ মানুষেন আশা-আকাংখার প্রতীক ও তিন উপজেলায় জনপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব মোঃ আঃ হামিদ এখন ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের মাঠে কাজ করার নির্দেশ দেয়ার পর থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভীড়ে যিনি সবার নজর কেড়েছেন তিনি আঃ হামিদ মাস্টার। আ.লীগের টিকিট পেতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা থেকে শুরু করে ইতিমধ্যেই ডজন খানেক নেতা নিয়মিতভাবে গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার সাধারন ভোটার ও দলীয় কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হামিদ মাস্টার যোগ্যতা ও প্রচার প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছেন।
পাবনা-৩ আসনে এবার পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। পাবনা পাঁচটি আসনের মধ্য পাবনা-৩ আসন একটি গুরুত্বপুর্ন আসন। বিশেষ করে বৃহৎ উপজেলা চাটমোহরবাসী এবার চাটমোহর থেকে প্রার্থী চায়। নেই দাবিতেও চাটমোহরবাসী সোচ্চার। এক্ষেত্রে আঃ হামিদ মাস্টার এগিয়ে। জনমুখী নানা ইতিবাচক কর্মকান্ড আর সুখে-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব আঃ হামিদ মাস্টার বিভিন্নভাবে এগিয়ে আছেন।
আগামী নির্বাচনে এই আসনে যারা এমপি হতে চান তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাকে নিয়ে এই আসনের সাধারণ জনগণ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তিনি বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকান্ড আর বিচক্ষণ নেতৃত্ব গুণে ইতিমধ্যে চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুরবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি এলাকায় নানা কর্মকান্ডে আত্মনিয়োগ করছেন। তাকে সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে যোগ দিতে দেখা গেছে।
এছাড়াও এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিভিন্নভাবে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। নৌকার পক্ষে তিনি ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনিই এখন ব্যাপক আলোচনায়। তিনি এলাকায় নিয়মিত পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন। আর তিনিই দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। তিনি বলেন, আজীবন আওয়ামী লীগের সাথে আছি। জেল খেটেছি, নির্যাতন-জুলুম সহ্য করেছি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে সার্বক্ষনিক চেষ্টা করেছি।
দীর্ঘদিন যাবৎ পাবনা-৩ এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাদের আশা-আকাঙ্খার কথা জেনেছি। স্বাধ্যমত তাদের সেবা করেছি। আমি ব্যক্তি স্বার্থে নয় জনগনের স্বার্থে রাজনীতি করি তাদের সেবার পরিধি বাড়ানোর জন্য আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নেত্রীর কাছে মনোনয়ন চেয়েছি। আশা করি আমার কাজের উপর ভিত্তি করে যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে পাবনা-৩ আসনকে ডিজিটাল আসনে পরিনত করা হবে।
তাই আমি এমপি পদে প্রার্থী হতে পারলে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আমি প্রার্থী হলে মানুষের দোয়া ও আর্শিবাদে সফল হতে পারব, সেই বিশ্বাস নিয়েই কাজ করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পেলেই আমি নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। আমি মানুষের সেবা ও এলাকার উন্নয়ন করার জন্য নিরলস ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কারণ আমি সারা জীবন মানুষের কল্যাণে ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এ জন্য সকলের দোয়া ও আর্শিবাদ এবং সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। তবে এ আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যার হাতে নৌকার হাল তুলে দিবেন, তার জন্য তিনি কাজ করবেন।