চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে ভূয়া এমবিবিএস গ্রেফতারের রেস কাটতে না কাটতেই আবারো ভূয়া চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বিলচলন ইউনিয়নের উত্তরসেনগ্রামে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার নাটোর গুরুদাসপুরের আনোয়ার হোসেন চক্ষু ও জেনারেল হাসপাতালের আয়োজনে চাটমোহরে উত্তরসেনগ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ে চক্ষু মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। পূর্বে মাইকে প্রচার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
লিফলেটে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ আলী ও ডাঃ মোঃ মনজুরুল ইসলাম (মাসুম) মাত্র ৩০ টাকা ফি নিয়ে রোগি দেখবেন। ছানী রোগিদের নাম মাত্র মূল্যে আমেরিকান/ইন্ডিয়ান লেন্স দিয়ে ঢাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ সার্জন দ্বারা নেত্র নালী, চোখের মাংস বৃদ্ধি, বা পর্দা অপারেশন করানো হবে বলে প্রচার করা হয়।
সকাল থেকেই রোগির ভিড় জমে যায়। বিদ্যালয় কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে রোগি দেখা শুরু করেন কয়েকজন রোগিকে উন্নত চিকিৎসা করানো প্রয়োজন বলে ৪/৫ হাজার করে টাকা দাবী করেন এ ভূয়া চিকিৎসক। বিষয়টি সন্দেহ হলে ডাঃ মোঃ মনজুরুল ইসলাম মাসুম কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি আনোয়ার হোসেন চক্ষু ও জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ডিপ্লোমাধারী বলে জানান। এ খবর ছড়িয়ে পরলে এলাকাবাসী তাকে প্রধান শিকের রুমে বসিয়ে রাখেন।
এব্যাপারে ডাঃ মোঃ মনজুরুল ইসলাম জানান, তিনি একজন ডিপ্লোমা ধারী চিকিৎসক। তবে কোনো কাগজপত্র দেখাতেও পারেনি। রোগি দেখে ডাঃ মোহাম্মদ আলীর প্যাডে প্রেসক্রিপশন করছিলেন। তিনি এটা করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে ভূল হয়েছে বলে জানান। ঘটনা জানাজানি হলে দুপুরে প্রকৃত ডাঃ মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থলে পৌছে উপস্থিত জনতার কাছে মা প্রার্থনা করেন এবং কিছু রোগির টাকা ফেরত দেন।
এব্যাপারে থানার ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন বলেন, ভূয়া চিকিৎসকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম অভিযুক্ত চিকিৎসকের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভূয়া চিকিৎসক মনজুরুল ইসলাম কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।